এক নজরে ভূরম্নঙ্গামারী উপজেলা
উপজেলার আয়তনঃ
Ø ৯১.২২ বর্গ মাইল।
Ø ২৩১.৭০ বর্গ কিলোমিটার।
Ø ৫৮,৩৮১.২ একর।
ভৌগলিক অবস্থানঃ
তিন দিকে ভারত বেষ্টিত এই উপজেলার
Ø পশ্চিমে পশ্চিম বঙ্গের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানা।
Ø উত্তরে- কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থানা।
Ø পূর্বে- আসামের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানা।
Ø দক্ষিণে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানা।
নদী সংক্রামত্মঃ
Ø নদী ০৪টি
১) দুধকুমর, ২) ফুলকুমর, ৩) কালজানী, ৪) গদাধর
যোগাযোগঃ
সড়ক পথ-
- জেলা সদর হতে দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (সড়ক পথে) ঃ ৪০ কিলোমিটার
- জেলা সদর হতে সোনাহাট স্থল বন্দরের দূরত্ব (সড়ক পথে) ঃ ৫২ কিলোমিটার
- উপজেলা সদর হতে স্থল বন্দরের দূরত্ব (সড়ক পথে) ঃ ১২ কিলোমিটার
- উপজেলা সদর হতে প্রসত্মাবিত বর্ডার হাটের দূরম্নত্ব (সড়ক পথে) ঃ ০৩ কিলোমিটার
- ভূরম্নঙ্গামারী হতে ঢাকার দূরত্ব (সড়ক পথে) ঃ ৩৯৩ কিলোমিটার
- মোট সড়ক পথঃ ৪১৭.৯৭ কিলোমিটার
- পাঁকা রাসত্মাঃ ৮২.৫৬ কিলোমিটার
- কাঁচা রাসত্মাঃ ৩৩৫.৪১ কিলোমিটার
- ব্রীজ কালভার্টের সংখ্যাঃ ৩১২ টি
নদী পথঃ
- সারা বৎসর ব্যাপি নৌপথঃ ৩৫ কিলোমিটার
- বর্ষার সময় নৌপথঃ ১১৫ কিলোমিটার
মুক্তিযোদ্ধা সংক্রামত্ম তথ্যাবলিঃ
Ø তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা-৯৩০জন।
- ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা-৮১০ জন।
অধুনালুপ্ত ছিটমহলের সংখ্যাঃ
Ø অধুনালুপ্ত ছিটমহল- ১০টি
আয়তন ২২০.৩৯ একর, লোকসংখ্যা-১২৪৩ জন।
সোনাহাট স্থলবন্দর সংক্রামত্ম তথ্যাবলিঃ
সোনাহাট স্থলবন্দরটি ভূরম্নঙ্গামারী উপজেলার পূর্বদিকে এবং আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলাগামী বৃটিশ আমলে নির্মিত আসাম বেঙ্গল মিলিটারী এক্সেস পাকা রোডের পাশে স্থলবন্দরটি অবস্থিত।
Ø উপজেলা সদর হতে স্থলবন্দরের দূরম্নত্ব ঃ ১২ কিলোমিটার।
- উদ্বোধন ঃ ১৭/১১/২০১২ খ্রিঃ ।
- আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু ঃ ২৮/০৪/২০১৪ খ্রিঃ।
- অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমাণ ঃ ১৪.৬৮ একর।
- আমদানিকৃত পণ্য সমূহ ঃ পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল,
আদা, পিয়াজ ও রসুন।
- রপ্তানিকৃত পণ্য সমূহ ঃ নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিরেকে সকল পণ্য।
- রাজস্ব আদায় ঃ প্রতি বছর প্রায় ১২ কোটি টাকা।
- আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঃ ৩ শতটি।
- প্রতিদিন পণ্যবাহি ট্রাকের সংখ্যা ঃ প্রায় ২০০টি।
প্রতিবন্ধকতা সমূহঃ
Ø ১৮৮৭ সালে নির্মিত সোনাহাট সেতুটি বর্তমানে জরাজীর্ণ হওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করায় যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। নতুন ব্রীজ নির্মাণ না হওয়া পর্যমত্ম ব্রীজটি দ্রম্নত সংস্কারের প্রয়োজন।
- নিয়মিত অসংখ্য যানবাহান চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাসত্মাটি প্রসসত্মকরণ প্রয়োজন।
সম্ভাবনাঃ
- ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টার বলে খ্যাত অঙ্গরাজ্যেসহ বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি হবে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হতে আসাম রাজ্য যাতায়তে ৩৫০ কিলোমিটার দূরম্নত্ব কমে যাবে।
- সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে পশ্চাৎপদ জনপদের ব্যাপক উন্নয়নসহ ভারতের সেভেন সিষ্টার রাজ্যে যাতায়তের গেটওয়ে হবে।
- স্থল বন্দরের পাশাপাশি মাত্র ৫কিলো মিটার পশ্চিমে সোনাহাট ব্রীজের পার্শ্বে নৌবন্দর চালু করলে পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে ও নদী ভাঙ্গন রোধসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রসত্মাবিত বাগভান্ডার বর্ডার হাট সংক্রামত্ম তথ্যাবলিঃ
- উপজেলা হতে প্রসত্মাবিত বর্ডার হাটের দুরম্নত্ব ঃ ০৩ কিলোমিটার।
- বর্ডারহাট স্থাপনের প্রসত্মাবিত জায়গাটি ২.৭২ একর ।
- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার জেলার পূর্বসাহেবগঞ্জ এলাকার এবং ভূরম্নঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের খামার পত্র নবীশ মৌজার বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন মেইন সীমানা পিলার ৯৬২ সংলগ্ন এলাকা।
- অধুনালুপ্ত ছিটমহল বিনিময়ের সময় ৯৬২ নং পিলার সংলগ্ন রাসত্মা দিয়ে ট্রাকের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দুই দেশের নাগরিক বিনিময় করা হয়।
- প্রসত্মাবিত স্থানটি তৎকালিন মেলেটারি এক্সেস রোড হওয়ায় দুই দেশেই নতুন করে রাসত্মা নির্মাণের প্রয়োজন নেই।
-
জনসংখ্যা সংক্রামত্ম তথ্যাবলী
লোক সংখ্যাঃ (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)
Ø পুরম্নষ ঃ ১,১৩,৫০২ জন।
Ø মহিলা ঃ ১,১৮,০৩৬ জন।
Ø মোট ঃ ২,৩১,৫৩৮ জন।
Ø মুসলিম জনসংখ্যা ঃ ২,২৭,৫৭৪ জন।
Ø হিন্দু ঃ ৩,৯৪৫ জন।
Ø বৌদ্ধ ঃ ১১ জন।
Ø খ্রিষ্টান ঃ ৫ জন।
Ø অন্যান্য ঃ ৩ জন।
Ø মজলুম জননেতা মাওলনা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বাড়ী (তিলাই ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে)
Ø আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ (বীর উত্তম) এঁর সমাধি স্থল। (জয়মনিরহাট জামে মসজিদ প্রঙ্গন)
Ø সোনাহাট ব্রীজ (স্থাপিত-১৮৮৭)
Ø মীরজুমলা আমলের প্রাচীন মসজিদ (স্থাপিত ১৬৬০ পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামে)
Ø সোনাহাট স্থল বন্দর- (স্থাপিত ২০১৩)।
ভোটার সংখ্যাঃ আপডেট- ২০১৭ খ্রিঃ।
Ø পুরুষ ঃ ৮৬,০৬০ জন ।
Ø মহিলা ঃ ৮৯,৬০২ জন ।
Ø মোট ঃ ১,৭৫,৬৬২ জন।
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাবলী
- উচ্চ বিদ্যালয় ঃ ২৩ টি।
- বালিকা বিদ্যালয় ঃ ৭ টি।
- জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ঃ ২ টি।
- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১১২ টি।
- ফাজিল মাদ্রাসা ঃ ২ টি।
- আলিম মাদ্রাসা ঃ ২ টি।
- দাখিল মাদ্রাসা ঃ ১৫ টি।
- ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ঃ ১৯ টি
- শিক্ষার হার ঃ ৭২.৬%
স্বাস্থ্য সেবা সংক্রামত্ম তথ্যাবলী
- হাসপাতাল ঃ ১টি।
- ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঃ ৪টি।
- ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঃ ০৫ টি।
- কমিউনিটি ক্লিনিক ঃ ৩২ টি।